
‘আমাকে মা’মলায় ফাঁ’সানো হয়েছে। দুই সাংবাদিককে চাঁদার টাকা না দেয়ায় তারা আমাকে ফাঁ’সিয়েছে। আমি চক্রান্তের স্বীকার। আমি সম্পূর্ণ নি’র্দোষ।’ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রি’মান্ড শুনানি শেষে হাজতখানায় নেয়ার পথে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদল এ সব কথা বলেন।
এ দিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আ’দালতে হাজির করে পু’লিশ। এ সময় অ’বৈধ অ’স্ত্র ও জাল টাকা উ’দ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থা’নার করা পৃথক দুই মা’মলায় তার সাত দিন করে ১৪ দিনের রি’মান্ড আবেদন করে পু’লিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান রি’মান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভ’য় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইস’লাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।
অ’বৈধ অ’স্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন স’ন্ত্রাসী কর্মকা’ণ্ডের সঙ্গে জ’ড়িত থাকার অ’ভিযোগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভা’র মালেককে গ্রে’ফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পি’স্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গু’লি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উ’দ্ধার করা হয়।
তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।

তার বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনকে জি’ম্মি করে চিকিৎসকদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন। চিকিৎসকদের বদলি-পদোন্নতিতেও ছিল তার হাত। নিয়োগ, বদলি ও পদন্নোতিতে তদবিরের নামে-বেনামে আদায় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার বদৌলতে অল্প দিনেই শতকোটি টাকারও বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন এই মালেক ড্রাইভা’র।
Leave a Reply